আশীর্বাদ
দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদার
# সারাংশ : একটি ছােটো পিপড়ে বর্ষায় বৃষ্টির জলের থেকে আত্মরক্ষা করার জন্য ঘাসের পাতায় আশ্রয় নেয়। বড়াে বড়াে বৃষ্টি বিন্দুর সাথে কষ্ট করে জল খেয়েও পাতা আঁকড়ে সে বাঁচতে চায়। পিঁপড়েরা এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যেতে পারে বলে তাদের কষ্ট ঘাসের তুলনায় কিছুটা কম। ঘাসেরা চলাফেরা করতে অক্ষম, তাই বৃষ্টি হলে তাদের জলের নীচে ডুবে তাকতে হয়। ঘাসের পাতা পিপড়েকে বৃষ্টির হাত থেকে রক্ষা করার জন্যে উভয়ে বন্ধু হয়ে উঠেছে। মাটি পিঁপড়েদের একান্ত আপন সম্পদ কারণ তারা সারাদিন খাদ্যসংগ্রহ করে দিনান্তে মাটির নীচে গর্তের মধ্যে আশ্রয় নেয়। পক্ষান্তরে গাছ ফুল ফুটিয়ে, খাদ্য তৈরি করে, মানুষকে অক্সিজেন জোগান দিয়ে সমগ্র পৃথিবীকে তাদের আপন করে নেয়। কিন্তু পিপড়ের এই কথা ঘাসের পাতা মানতে পারে না। কারণ মাটিতে সকলের সম অধিকার আর মাটি ব্যতীত বৃষ্টির জল শােষণ করার অধিকার বা ক্ষমতা কারও নেই।
এরপর বৃষ্টি আসে এবং সে পিপড়েকে জানায় নির্ভীক ঘাসপাতা বন্ধুটির কথা। ঘাসপাতা গ্রীষ্মের রােদে পুড়ে
ধুলাে ধুয়ে আবার নবরূপে সবুজ আভা গ্রহণ করে। শরৎকালে এই ঘাস থেকেই কাশফুল জন্মায়। অনুরূপভাবে বর্ষার পর প্রকৃতিতে শরতের আবির্ভাব ঘটবে। পিঁপড়ের জীবনে শরৎ আশীর্বাদরূপে দেখা দেবে। তখন আবার এই পৃথিবীতে তাদের অধিকার পুনরায় প্রতিষ্ঠিত হবে।
:::হাতেকলমে :::
১.১ দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদারকে সবচেয়ে বেশি কী আকর্ষণ করত?
উত্তর। রূপকথা, উপকথা এবং লােককথার গল্প দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদারকে সবচেয়ে বেশি আকর্ষণ করত।
১.২ তিনি শিশুসাহিত্যের কোন পুরস্কারে পুরস্কৃত হয়েছিলেন?
উত্তর। তিনি বঙ্গীয় শিশু সাহিত্য পরিষদ থেকে ভুবনেশ্বরী পদকে পুরস্কৃত হয়েছিলেন।
২. নীচের প্রশ্নগুলির একটি বাক্যে উত্তর দাও :
২.১ বন্যায় প্রকৃতির রূপ কেমন হয় ?
উত্তর। বন্যা হলে প্রকৃতির চারিদিকে জল থই থই করে।
২.২ পিপড়ে কোথায় আশ্রয় নিয়েছিল ?
উত্তর। বন্যার সময় পিপড়ে একটি ঘাসের পাতার নীচে আত্মরক্ষার্থে আশ্রয় নিয়েছিল।
২.৩ বৃষ্টির সময়ে গাছের পাতা কাঁপছিল কেন ?
উত্তর। বৃষ্টির প্রবল ঝাপটায় গাছের পাতারা নিজেদের সামলাতে না পেরে কাপছিল।
২.৪ পিপড়ে নিজেকে বাঁচাবার জন্য কী করল?
উত্তর। নিজেকে বাঁচাবার জন্য পিপড়ে ঘাসের পাতার শিরা আঁকড়ে ধরে ঝুলে থাকল।
২.৫ পিপড়ে কখন “বাপ। বাঁচলেম” বলে উঠল?
উত্তর। বৃষ্টি একটু কমলে ঘাসের পাতা সােজা হয়ে দাঁড়াল। তখন পিপড়ে “বাপ বাঁচলেম” বলে উঠল।
২.৬, জল কেমন শব্দে হেসে উঠেছিল?
উত্তর। খলখল শব্দ করে জল হেসে উঠেছিল।
২.৭ “বুক ভেঙে নিশ্বাস পড়ল পিপড়ের।” কেন এমন হল?
উত্তর। পিপড়ে জলবৃষ্টির কাছ থেকে শুনল যে শরৎকাল এলে ঘাস থেকেই কাশফুল ফোটে। তাই পিঁপড়ে নিজেকে তুচ্ছ মনে করল এবং তার বুক ভেঙে নিশ্বাস পড়ল।
২.৮ “শরতের আশীর্বাদ তােমাদেরও উপরে পরুক।”—কে এমনটি কামনা করেছিল?
উত্তর। শরতের আকাশে মেঘ কেটে গেলে সূর্য কামনা করেছিল যেন শরতের আশীর্বাদ সকলের উপর ঝরে পড়ে।
৩. নীচের বাক্যগুলি থেকে সমাপিকা ও অসমাপিকা ক্রিয়া চিহ্নিত করে লেখাে :
৩.১ বর্ষা খুব নেমেছে।
(অসমাপিকা ক্রিয়া)
৩.২ ভাই, জোরে আঁকড়ে ধরাে।
(অসমাপিকা ক্রিয়া) (সমাপিকা ক্রিয়া)
৩.৩ এক টোক জল খেয়ে পিপড়ে আর কিছু বলতে পারলে না।
(অসমাপিকা ক্রিয়া) (অসমাপিকা ক্রিয়া) (সমাপিকা ক্রিয়া)
৩.৪ বৃষ্টির ফোঁটার ঘায়ে পাতাটা বােধ হয় এলিয়ে পড়বে জলে।
(সমাপিকা ক্রিয়া) (অসমাপিকা ক্রিয়া) (সমাপিকা ক্রিয়া)
৩.৫ শিউরে পাতা বললে—ভাই। তেমন কথা বােলাে না।
(সমাপিকা ক্রিয়া)
৪. সকর্মক ও অকর্মক ক্রিয়া চিহ্নিত করাে :
৪.১ সারা দিনরাত খাটি। (অকর্মক ক্রিয়া)
৪.২ আমরা যাই, আসি, দেখি। (অকর্মক ক্রিয়া)
৪.৩ ঘাসের পাতাটা সােজা হয়ে দাঁড়িয়েছে। (অকর্মক ক্রিয়া)
৪.৪ এ জল কী করে পার হব? (সকর্মক ক্রিয়া)
৪.৫ পৃথিবী তােমার হবে। (সকর্মক ক্রিয়া)
৫. সন্ধি বিচ্ছেদ করাে : নিশ্বাস, বৃষ্টি, নিশ্চয়, আশীর্বাদ।
উত্তর। নিশ্বাস—নিঃ + শ্বস। বৃষ্টি-বৃষ + তি। নিশ্চয—নিঃ + চয়। আশীর্বাদ—আশিঃ + বাদ।
৬. নীচের শব্দগুলি থেকে উপসর্গ পৃথক করাে এবং তা দিয়ে দুটি নতুন শব্দ তৈরি করাে :
বিদেশ, দুর্ভাগ্য, অনাবৃষ্টি, সুদিন, নির্ভয়।
উত্তর।
বিদেশ= বি + দেশ= বি = বি + কার = বিকার, বি + চার = বিচার
দুর্ভাগ্য = দুঃ + ভাগ্য = দুঃ = দুঃ + আচার = দুরাচার, দুঃ + শাসন =দুঃশাসন
অনাবৃষ্টি = অনা + বৃষ্টি = অনা = অনা + আচার অনাচার, অনা + আবশ্য= অনাবশ্যক
সুদিন = স + দিন = সু = স + বিচার = সুবিচার, সু + সময় =সুসময়,
নির্ভয় = নিঃ + ভয় =নিঃ = নিঃ + আকার = নিরাকার, নিঃ + বিচার =নির্বিচার
৭। নীচের বিশেষ্য শব্দগুলিকে বিশেষণে রূপান্তরিত করে লেখাে :
অগ্রিয়, শরীর, শরৎ মুখ, ফুল।
বিশেষ্য 👉 বিশেষণ
আশ্রয় 👉 আশ্রিত
শরীর 👉শারীরিক
শরৎ 👉 শারদীয়
মুখ👉 মৌখিক
ফুল👉 ফুলেল
৮। চোখ শব্দটিকে দুটি আলাদা অর্থে ব্যবহার করে পৃথক বাক্যরচনা করাে :
উত্তর। চোখ–দর্শনের ইন্দ্রিয়-চোখ না থাকলে পৃথিবী অন্ধকার।
চোখ-নজর—ছেলেটিকে চোখে চোখে রেখাে, ওর হাতটান আছে।
৯। নীচের বাক্যগুলির উদ্দেশ্য ও বিধেয় অংশ ভাগ করে দেখাও :
উদ্দেশ্য 👉বিধেয়
আমরা👉সাঁতার জানি।
বর্ষাতেও পিপড়ের মুখ 👉শুকিয়ে গেল।
আমরা (উহ্য)👉শেষে আবার সেই গর্তেই ঢুকি গিয়ে
জল👉খলখল করে হেসে উঠল।
পৃথিবী👉 সবারই হােক।
১০, নির্দেশ অনুসারে উত্তর দাও :
উত্তর।
১০.১ আমরা সাঁতার এবং হাঁটা দুটোই জানি।
১০.২ তােমরা পৃথিবীর উপরে হাসাে। তােমরা ফুলটুল ফোটাও।
১০,৩ যখন বর্ষা খুব নেমেছে তখন নীচেও বান ডেকেছে।
১০,৪ আমরা নড়তেও পারিনে কিন্তু কোনােরকমে শুড়-টুড় বাড়াই।
১০.৫ এক টোক জল খেয়ে পিপড়ে কিছু বলতে পারলে না।
১১. নীচের প্রশ্নগুলির কয়েকটি বাক্যে উত্তর দাও :
১১.১ পাঠ্যাংশে কোন্ কোন্ ঋতুর প্রসঙ্গ রয়েছে? প্রতি ক্ষেত্রে একটি করে উদাহরণ পাঠ থেকে খুঁজে নিয়ে লেখাে।
উত্তর। আমাদের পাঠ্যাংশে বর্ষা এবং শরৎ ঋতুর প্রসঙ্গ আছে।
বর্ষা ঋতুর উদাহরণ : বর্ষা খুব নেমেছে। নীচেও ডেকেছে বান। জলে দেশ থই থই করছে।
শরৎ ঋতুর উদাহরণ : শরতে চেয়ে দেখি, তারাই কাশবন হয়ে হাসছে।
১১.২ পাতা গাছের কী প্রয়ােজনে লাগে?
উত্তর। পাতা গাছের একটি প্রয়ােজনীয় অঙ্গ। সূর্যের আলােকে ধরে খাদ্য তৈরির কাজে এবং সালােকসংশ্লেষের জন্য পাতার প্রয়ােজন হয়।
১১.৩ পিপড়েৰ বাসস্থান সম্পর্কে অনধিক তিনটি বাক্যে লেখাে।
উত্তর। পিপড়ের বাসস্থান মাটির নীচে গর্তের মধ্যে। সারাদিন ধরে তার কাজ হল খাদ্য সংগ্রহ করা তাই সে সর্বদা ব্যস্ত। দিনের শেষে তারা তাদের মাটির গর্তে ফিরে যায়। তারা ভাবে মাটিটা তাদের আর বাকি পৃথিবী অন্য প্রাণীর।
১১.৪ বৃষ্টি পাতাকে কোন পরিচয়ে পরিচায়িত করেছে?
উত্তর। বৃষ্টির কাছ পাতা হল বন্ধু। তাই বৃষ্টি পাতাকে তার সবুজ বন্ধু আখ্যায় ভূষিত করেছে।
১১.৫ সবার কথা শুনে পিপড়ে কী ভাবল ?
উত্তর। সবার কথা শােনার পর পিপড়ের মনে হল পৃথিবী আবার তার হবে এবং পৃথিবী কেবলমাত্র তার প্রকার নয় সে সকলেরই আশ্রয়স্থল।
১১.৬ প্রকৃতির বুকে শরতের আশীর্বাদ কীভাবে ঝরে পড়ে ?
উত্তর। ঋতুচক্রের আবর্তনে স্বাভাবিক নিয়মে বর্ষার পর আসে শরৎ। শরতে বর্ষার ঘাস কাশবন হয়ে হাসি ছড়ায়। তাই শরতের আগমন বর্ষার বিদায়বার্তা ঘােষণা করবে। সূর্য আবার হাসবে এবং প্রকৃতিতে আর বৃষ্টির উপদ্রব থাকবে না।
১২. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখাে :
১২.১। বৃষ্টির সময় তােমার চারপাশের প্রকৃতি কেমন রূপ নেয় সে সম্পর্কে কয়েকটি বাক্য লেখাে।
উত্তর। বর্ষা ঋতু হল বৃষ্টির কাল। বর্ষার বারিধারায় পুষ্ট হয়ে আমাদের চারিদিকের প্রকৃতি সবুজ বর্ণ ধারণ করে।
গ্রীষ্মকালের প্রখর দাবদাহে যেসব গাছ মৃতপ্রায় হয়ে গিয়েছিল তারা নতুন করে প্রাণ ফিরে পায়। বর্ষা প্রকৃতি যৌবনবতী হয়ে ওঠে। তার নতুন প্রাণে হাওয়ার দোলা দেয় এবং সে আনন্দে মাতােয়ারা হয়ে ওঠে।
১২.২। পিপড়ে গাছের পাতায় আশ্রয় নিয়েছিল কেন ?
উত্তর। প্রকৃতিতে বর্ষার ফলে সারা দেশ জলে ভরে গিয়েছিল। বর্ষার ফলশ্রুতিতে পিপড়ে আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছিল। আত্মরক্ষার প্রয়ােজনে সে ঘাসের পাতার নীচে আশ্রয় গ্রহণ করেছিল।
১২.৩। পাতা কেন পিপড়েকে তার শরীর কামড়ে ধরতে বলেছিল?
উত্তর। বর্ষার ফলে জলের স্রোত বইছিল। তাই পাতা বন্ধু পিপড়েকে জোর করে তার শরীরকে কামড়ে ধরতে বলেছিল।
১২.৪ । পাতা কী বলে পিপড়েকে প্রবােধ দিতে চেয়েছিল? কাজে আসে না কোনােটাই'—এখানে তার কোন কাজে না আসার আসার কথা বলা হয়েছে?
উত্তর। পিপড়ে সাঁতার জানে, হাঁটতে জানে আবার প্রয়ােজনে দৌড়াতেও পারে সুতরাং তার ভয়ের কোনাে কারণ নেই বলে পাতা পিপড়েকে প্রবােধ দিতে চেয়েছিল।কিন্তু প্রয়ােজনের সময় পিপড়ের হাঁটা, সাঁতার জানা এমনকি দৌড়ানােও কোনাে কাজে আসে না। বর্ষা ঋতুতে পিপড়ে জলে পড়ে গেলে সে হাবুডুবু খায় এমনকি তার মৃত্যু হওয়াও অসম্ভব নয়। তাই পিপড়ের জানা তিন বিদ্যা হাঁটা, সাঁতার জানা এবং দৌড়ানাে সবসময় কাজে আসে না।
১২.৫। “তাই আজ বেঁচে গেলাম”—বত্তার ‘আজ বেঁচে যাওয়ার কারণ কী?
উত্তর। সওপরে সংকলিত অংশটুকুর বস্তা হল পিপড়ে। সেদিনের বর্ষায় সারা পৃথিবী জলে ভরে গিয়েছিল। তখন পিপড়ে বন্ধু ঘাসের পাতাকে কামড়ে ধরে জলের হাত থেকে অব্যাহতি লাভ করেছিল।
১২.৬। পিপড়ে আর পাতা কীভাবে নিজেদের কষ্টের কথা গল্পে বলেছে তা একটি অনুচ্ছেদ লেখাে।
উত্তর। প্রকৃতিতে বর্ষা নেমেছে। দেশে বন্যা হবার ফলে সারা দেশে জল থই থই করছে। নিরাশ্রয় পিপড়ে প্রাণ
বাঁচাবার তাগিদে একটি বাসের পাতাকে অবলম্বন করেছে। হাওয়ার দোলায় দুর্বল মাসের পাতা কাপছে। হেলছে এবং এলিয়ে পড়ার অপেক্ষায় প্রহর গুণছে। পিপড়ে ঘাসের শিরাটাকে জোরে কামড়ে ধরে আত্মরক্ষার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।
পক্ষান্তরে ঘাস তাে চলাফেরা করতে অক্ষম। তাই সে নড়েচড়ে বা ঝুলে বাঁচতে পারে না। বর্ষার অবসানে জল নেমে গেলে পিঁপড়ে তার জীবন রক্ষা করার জন্য পাতাকে ধন্যবাদ জানায়। পাতা যেহেতু স্থির, সে চলাফেরা করতে পারে না। তাই তাকে রৌদ্রে পুড়ে শুকিয়ে ধুলােয় পরিণত হতে হয়। আবার বর্ষাকালে বৃষ্টির জল পেলে তারা নতুন জীবন লাভ করে। কোনােকিছুতেই তার কোনাে ভয় নেই।
১২.৭। পিপড়ের সঙ্গে গাছের কথাবার্তা নিয়ে সংলাপ তৈরি করাে। শ্রেণিকক্ষে অভিনয়ের আয়ােজন করাে।
উত্তর। শিক্ষক/শিক্ষিকার সাহায্য নিয়ে নিজেরা করাে।
১২.৮। ‘মাটি সবারই’—পাতার এই কথার মধ্য দিয়ে কোন্ সত্য ফুটে উঠেছে?
উত্তর। পাতা মনে করে পৃথিবীর মাটিতে সকলের সম অধিকার। মাটিতেই আমাদের জন্ম এবং মাটির উপর নির্ভর করেই আমরা জীবনধারণ করে থাকি। মাটি হল প্রকৃতির সার্বজনীন দান। প্রকৃতির সম্পদে সকলের সমানাধিকার।জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে প্রকৃতি সকলকে তার সম্পদ সমভাবে বণ্টন করে দেয়।
১২.৯ মেঘের আড়াল থেকে বৃষ্টি কোন্ কথা শুনতে পেয়েছিল? তা শুনে বৃষ্টি পিপড়েকে কী বলল?
উত্তর। বৃষ্টি মেঘের আড়ালে অবস্থান করে পাতা ও পিপড়ের কথােপকথন মনােযােগসহকারে শুনছিল। উভয়ের কথাবার্তা শােনার পর বৃষ্টি পিপড়েকে ঘাসের মতাে নির্ভীক হতে বলেছিল।
১২.১০। শরৎ ঋতুর প্রকৃতি কেমন সে বিষয়ে একটা অনুচ্ছেদ রচনা করাে।
উত্তর। তােমার রচনা বই দেখে শরৎকালের রচনাটি লেখাে।
১২.১১। পাতা, বৃষ্টি, জল, ঘাসের পাতা কে কীভাবে পিপড়ের মনে সাহস জুগিয়েছিল—তা আলােচনা করাে।
উত্তর। ঘাসের পাতা এবং বৃষ্টির জল প্রকৃতপক্ষে পিঁপড়ের বন্ধু ছিল। তাই তারা তাদের মতাে করে পিপড়ের মনে সাহস জোগান দিয়েছিল। পাতা পিপড়েকে বলেছিল বাঁচার তাগিদে তাকে শক্ত করে কামড়ে ধরতে।
বৃষ্টির জল পিপড়েকে সবসময় সাহস দিয়েছিল এই বলে যে সে যেন কোনাে অবস্থাতেই বিপদ পড়লে ভয় না পায়। কারণ ভয় অনেক সময় মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়ায়।