মন-ভালো-করা - শক্তি চট্টোপাধ্যায় । Mon Bhalo kora - By Shakti Chattopadhyay
২. নীচের শব্দগুলির বিপরীতার্থক শব্দ লিখে তা দিয়ে বাক্যরচনা করাে ।
হ্রস্ব, খর, শান্ত।
উত্তর। হ্র—দীর্ঘ—তুমি দীর্ঘজীবী হও।
খব—ধীর/শান্ত-ধীর প্রকৃতির ছাত্রছাত্রীরা সফল হয়।
শান্ত-চল—ছেলেটি বড়ােই চল কিন্তু বুদ্ধিমান।
৩. শব্দগুলি কোন মূল শব্দ থেকে এসেছে লেখাে :
রােদুর, গা।
উত্তর। রােদুব নীচেররৌদ্র > রােদুর।
গা। গাত্র > গা।
৪. ‘হাওয়ায় বাতাসে পাতারাও নড়ে’-হাওয়া বাতাসের মতাে একই অর্থবােধক পাঁচটি শব্দবন্ধ রচনা করে স্বাধীন বাক্যে প্রয়ােগ করাে।
উত্তর। কাগজপত্র-কাগজপত্র না দেখে কিছু বলা যাবে না।
হাটেবাজারে—আজকাল হাটেবাজারে লােকসমাগম বেড়েছে।
: মাঠ ময়দানে—গ্রামের মাঠ ময়দানে এখন খেলাধুলা কম হয়।
চিঠিপত্র—মােবাইল ব্যবহারের ফলে চিঠিপত্র লেখা কমে গেছে।
মাথামুণ্ডু—তােমার কথার মাথামুণ্ডু আমার বােধগম্য হচ্ছে না।
৫. মন-ভালােকরা, নীল-নীলান্তর মতাে একাধিক শব্দবন্ধ তৈরি করাে।
উত্তর। ননীর-পুতুল। চাদের-কিরণ।
৬. গদ্যে লেখাে :
মন-ভালাে-করা-রােদুর কেন/মাছরাঙাটির গায়ের মতন।
উত্তর। মন ভালাে করা রৌদ্র মাছরাঙার গায়ের মতন হবার কারণ জানাও।
৭. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখাে :
৭.১ কবিতায় কবি মনে কোন্ কোন্ প্রশ্ন জেগেছে তা নিজের ভাষায় লেখাে।
উত্তর : কবিতায় কবিমনে প্রশ্ন জেগেছে মন ভালাে করা রােদুরের রং মাছরাঙাটির গায়ের রং এর মতাে হবার কারণ কী। মাছরাঙাটির গাত্রবর্ণ কেন খর, শান্ত, লাল, হলুদ ও সবুজাভ যা সূর্যের সাত রং এর সঙ্গে তুলনীয়।
৭.২ মন ভালাে করা রােদুরকে কবি কীসের সঙ্গে তুলনা করেছেন? ।
উত্তর। কবি মন ভালাে করা রােদুরকে মাছরাঙা পাখির গায়ের রং লাল, হলুদ ও সবুজ রঙের মিশ্রণ দেখা যায় মাছরাঙা পাখির গাত্রবর্ণের সঙ্গে তুলনা করেছেন।
৭.৩ মাছরাঙা পাখির রং কবির চোখে কীভাবে ধরা পড়েছে?
উত্তর। মাছরাঙা পাখির গায়ের রং এ বিচিত্র বর্ণের সমাবেশ। সেখানে খর ও শান্ত, লাল, হলুদ ও সবুজের আভা যায়। মাছরাঙা পাখির গায়ের রং কবির মনকে ভালাে করে দেয়।
৭.৪ গাছের ডালে বসা মাছরাঙা পাখিটি কীভাবে কৰিকল্পনাকে প্রভাবিত করেছে, তা বুঝিয়ে দাও।
উত্তর। সৌন্দর্যপিয়াসী কল্পনাপ্রবণ কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় মাছরাঙা পাখির বিচিত্র বর্ণ দেখে মুগ্ধ হয়েছিলেন। কল্পনার দৃষ্টিতে কবি মাছরাঙা পাখির গাত্রবর্ণে সূর্যের বিচিত্র বর্ণচ্ছটার হদিশ পেয়েছিলেন। সেই দৃশ্য উপভােগ করে কবিচিত্ত আনন্দে আত্মহারা হয়েছিল। তাই তিনি তাৎক্ষণিক দুঃখকে বিস্মৃত হয়ে আনন্দে মাতােয়ারা হয়ে উঠেছিলেন।
************************************************