মেনি
কুমুদরঞ্জন মল্লিক
সারাংশ : কবির পােষ্য মেনিবেড়াল নিত্যদিন বাড়ির রান্নাঘর থেকে মাছ, দুধ, দই ইত্যাদি চুরি করে খেয়ে ক্ষতিসাধন করে। ছেলেদের বিছানায় ঘুমিয়ে থাকে। কবি তার মধ্যে কোনাে গুণের সন্ধান না পেলেও তাকে না দেখে থাকতে পারেন না। মেনি বাড়িরই এক সদস্যের মতাে। তার অজস্র জ্বালাতন অত্যাচার সইলেও তাকে বাড়ি থেকে তাড়ানাে অসম্ভব। সুদীর্ঘকাল সঙ্গে থাকার জন্য মেনির সাথে কবির পরিবারের এক সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। তাই হঠাৎ
মেনির নিরুদ্দেশ যাত্রায় কবি তার পরিবারের সদস্যবৃন্দ কিছুটা বিমর্ষ হয়ে পড়েছেন।
০ শব্দার্থ : দায়ভার। ঠাই-ম্যান। নিত্য-রােজ। উৎপাত—অত্যাচার। বিন্দু—সামান্য। আকর্ষণ–টান।
আঁখি-চোখ। হাতডে-খুঁজে। ঝাট—বিপদ।
অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তর
১. একটি বাক্যে উত্তর দাও :
১১ মেনি কীভাবে ক্ষতি করে?
উত্তর। মেনি হাঁড়ি থেকে মাছ খেয়ে এবং দুধ, দই খেয়ে নিয়ে ক্ষতিসাধন করে।
১.২. মেনি কোথায় ঘুমায়?
উত্তর। বাড়ির ছেলেদের বিছানায় আরাম করে মেনি ঘুমায়।
১.৩ ছেলেগুলোর কাদার কারণ কী?
উত্তর। একদিন একরাত মেনিকে দেখতে না পেয়ে মেনির বিরহে ছেলেরা কাঁদছে।
১.৪ মন কী বুঝতে পারে না?
উত্তর। মেনি ক্ষতি করলেও তার প্রতি কবির মানসিক আকর্ষণের কারণ বুঝতে পারে না।
১.৫ “পৃথিবীর ঝঞ্চাটবলতে কাকে বােঝানাে হয়েছে?
উত্তর। পৃথিবীর ঝঞ্জাট বলতে কবির পােষা বিড়াল মেনিকে বােঝানাে হয়েছে।
২. “ছেড়ে দিতে চায় নাকো কিন্তু”—বত্তা কে? তাকে বস্তা ছাড়তে চাননা কেন?
উত্তর। সংকলিত অংশটির বস্তা কবি কুমুদরঞ্জন মল্লিক।
—কবির বাড়িতে তার পােষা বিড়াল মেনি দীর্ঘদিন লালিত পালিত হচ্ছে। তার সঙ্গে কবি ও তার পরিবারের সদস্যদের একটা সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। সে শতপ্রকার অন্যায় করলেও তাকে মায়ার বাঁধন কেটে ছেড়ে দিতে কবির
মন সায় দেয় না।
৩. 'নেনি’ কবিতার মাধ্যমে কৰি চরিত্রের কোন গুণ ফুটে উঠেছে?
উত্তর। মনুষ্যেতর প্রাণী পাখি, পশুকে আমরা গৃহে সম্ভানহে লালন পালন করে থাকি। আলােচ্য কবিতায় কবির
পােষ্য বিড়াল মেনির প্রতি কবির অকৃত্রিম ভালােবাসার পরিচয় আমরা পেয়ে থাকি।
৪. মেনি’ কবিতার মূল ভাবটি বিশ্লেষণ করাে।
উত্তর। সারাংশ দেখে নিজে লেখাে।