ঘাসফড়িং
১.১ কবি অরুণ মিত্র কোন্ বিদেশি ভাষায় বিশেষজ্ঞ ছিলেন?
উত্তর। কবি অরুণ মিত্র ফরাসি ভাষায় বিশেষজ্ঞ ছিলেন।
১.২ তার লেখা দুটি কবিতার বইয়ের নাম লেখো।
উত্তর। তার লেখা দুটি কবিতার বইয়ের নাম—‘প্রান্তরেখা’, ‘ঘনিষ্ঠ তাপ।
২. বাক্যের উদ্দেশ্য ও বিধেয় অংশ আলাদা করে দেখাও :
২.১ ভাব না করে পারতামই না আমরা।
উদ্দেশ্য।
আমরা।
বিধেয়
ভাব না করে পারতামই না।
২.২ সবুজ মাথা তুলে কত খেলা দেখাল ঘাস ফড়িং।
উত্তর। উদ্দেশ্য
ঘাসফড়িং।
বিধেয়।
সবুজ মাথা তুলে কত খেলা দেখাল।
২,৩ আমার ঘরের দরজা এখন সবুজে সবুজ।
উদ্দেশ্য
আমার ঘরের দরজা।
বিধেয়
এখন সবুজে সবুজ।
২.৪, ভিজে ঘাসের উপর আমাকে যেতেই হবে আবার।
উত্তর।
উদ্দেশ্য
আমাকে
বিধেয়
ভিজে ঘাসের ওপর আবার যেতেই হবে।
৩. নীচের শব্দগুলি বাক্যে ব্যবহার করে একটি অনুচ্ছেদ তৈরি করাে :
ভাব, ভিজে, নতুন, আত্মীয়তা, মনখারাপ, সবুজ, ঝিরঝির।
উত্তর। খােলা মাঠের সঙ্গে আমার ভারী ভাব। বিশেষ করে তার উপরে গালচের মতাে সবুজ যখন ভিজে থাকে। যেন একটা নতুন পৃথিবীর মধ্য দিয়ে হেঁটে যাচ্ছি। বৃষ্টি ভেজা সবুজ প্রকৃতির সঙ্গে আমার আত্মীয়তা গড়ে ওঠে। কিন্তু দিনের শেষ আমাকে তাে বাড়ি ফিরতে হবে বলেই মন খারাপ। প্রকৃতির কোলে সবুজ ঘাসের ওপর বৃষ্টি পড়ে ঘাসগুলােকে সুন্দর দেখাচ্ছে। ঝিরঝির বৃষ্টিপাতের মধ্য দিয়ে একাকী বাড়ি ফিরলাম। বর্ষার প্রকৃতি সত্যই মনকে অদ্ভুত আনন্দে ভরিয়ে দেয়।
৪. নীচের বিশেষ্য শব্দগুলিকে বিশেষণে এবং বিশেষণ শব্দগুলিকে বিশেষ্যে রূপান্তরিত করাে ।
আত্মীয়তা, ঘাস, সবুজ, নতুন।
উত্তর।
বিশেষ্য বিশেষণ
আত্মীয়তা আত্মীয়
ঘাস ঘেসাে
সবুজতা সবুজ
নতুনত্ব নতুন
৫. নির্দেশ অনুসারে বাক্য পরিবর্তন করাে :
৫.১ সবজ মাথা তুলে কত খেলা দেখাল ঘাসফড়িং। (যৌগিক বাক্যে)
উত্তর। ঘাসফড়িং সবুজ মাথা তুলল এবং কত খেলা দেখাল।
৫.২ একটা ঘাসফড়িং এর সঙ্গে আমার গলায় গলায় ভাব হয়েছে। (জটিল বাক্যে)
উত্তর। একটা ঘাসফড়িং ছিল, তার সঙ্গে আমার গলায় গলায় ভাব হয়েছে।
৫.৩ যেই ঝিরঝির বৃষ্টি থেমেছে অমনি আমি ভিজে ঘাসে পা দিয়েছি। (সরল বাক্যে)
উত্তর। ঝিরঝির বৃষ্টি থামার সঙ্গে সঙ্গেই আমি ভিজে ঘাসে পা দিয়েছি।
৫.৪ আমার ঘরের দরজা এখন সবুজে সবুজ। (যৌগিক বাক্যে)
উত্তর। আমার ঘরের দরজা আছে কিন্তু এখন তা সবুজে সবুজ।
৬. নীচের বাক্যগুলি থেকে শব্দ বিভক্তি এবং অনুসর্গ খুঁজে নিয়ে লেখাে :
৬.১ তার কাছ থেকে চলে আসার সময় আমার কী মন খারাপ।
উত্তর। অনুসর্গ—থেকে। শব্দবিভক্তি—আমার—‘র’।
৬.২ আমি কথা দিয়ে এসেছি।
উত্তর : অনুসর্গ—‘দিয়ে।
৬.৩ ঝিরঝির বৃষ্টির পর আমি ভিজে ঘাসে পা দিয়েছি।
উত্তর। অনুসর্গ—পর। শব্দবিভক্তি—বৃষ্টির—‘র’। ঘাসে-‘এ’।
৬.৪ ভিজে ঘাসের ওপর আমাকে যেতেই হবে আবার।
উত্তর। শব্দবিভক্তি—ঘাসের = ‘এর’। আমাকে—‘কে’।
৭. নীচের প্রশ্নগুলির নিজের ভাষায় উত্তর লেখাে :
৭.১ কবির সঙ্গে ঘাসফড়িং এর নতুন আত্মীয়তা কীভাবে গড়ে উঠল ?
উত্তর। ঝিরঝিরে বৃষ্টির পর কবি যখন ভিজে ঘাসের ওপর পা দিয়েছেন তখন ঘাসফড়িং সবুজ মাথা তুলে তাকে বহু খেলা দেখাল। এই দৃশ্য দেখে কবি মুগ্ধ হলেন এবং ঘাস ফড়িং এর সঙ্গে নতুন আত্মীয়তা গড়ে উঠল।
৭.২ কবির কৌতুহল ও ভালােলাগায় ঘাসফড়িং কীভাবে সাড়া দিল বলে তােমার মনে হয়?
উত্তর। একটি ছােটো সবুজ রঙের ঘাস ফড়িংকে দেখে কবির মনে কৌতূহল জেগেছিল এবং তাকে ভালােবেসে ফেলেছিলেন। কবির এই ভালােবাসায় খুশি হয়ে ঘাসফড়িং সবুজমাথা তুলে অনেক খেলা দেখাল। ঘাসফড়িং এইভাবেই সাড়া দিয়েছিল।
৭.৩ ঘাসফড়িং এর কাছ থেকে চলে আসার সময় কবির মন খারাপ হল কেন বুঝিয়ে দাও।
উত্তর। ঘাসফড়িং এর কাছ থেকে চলে আসার সময় খুব স্বভাবত কারণেই কবির মন খারাপ হল। কারণ ঘাসফড়িং এর সবুজ মাথা তুলে অনেকের নাচ দেখে কবি মুগ্ধ হলেন এবং তার সঙ্গে নতুন একটা আত্মীয়তার সম্পর্ক গড়ে তােলেন।
৭.৪ বলে এলাম আমি আবার আসব’—পঙক্তিটির মধ্যে দিয়ে কবির কোন্ মনােভাবের প্রকাশ ঘটেছে?
উত্তর। ঘাসফড়িং এর সবুজ মাথা তুলে অনেক নাচের দৃশ্য দেখে কৰি আনন্দিত ও মুগ্ধ হয়েছিলেন। সময়ের
অভাবে কবি যখন ফিরতে বাধ্য হলেন তখন তাকে কথা দিয়েছিলেন আবার তার কাছে ফিরে আসবেন। এখানে কবির প্রকৃতিপ্রেমিক মনের ও ক্ষুদ্র পতঙ্গের প্রতি ভালােবাসা প্রকাশ পেয়েছে।
৭.৫ ‘আমার ঘরের দরজা এখন সবুজে সবুজ।—কবির এরূপ সবুজের সমারােহ দেখার কারণ কী?
উত্তর। কবি প্রকৃতি প্রেমিক। নব বর্ষার সৃষ্টি পেয়ে প্রকৃতি সবুজ বর্ণ ধারণ করেছে। চারিদিকে সবুজ ঘাসের সমারােহ, কবির বাড়ির দরজার সামনে খােলা মাঠে ঘাসেরা সবুজ রূপ ধারণ করেছে। তাছাড়া কবির মনেও সবুজের ছোঁয়া লেগেছে।
তাই কবি এরূপ সবুজের সমারােহ দেখেছেন।
৭.৬ “ভিজে ঘাসের ওপর আমাকে যেতেই হবে আবার।'—কোন্ ভিজে ঘাসের ওপর কবিকে ফিরতেই হবে? সেখানে তিনি যেতে চান কেন?
উত্তর। ঝিরঝির বৃষ্টির জল পেয়ে যে ঘাস সবুজ হয়ে উঠেছিল যার উপর পা দিয়ে কৰি প্ৰথম ঘাসফড়িং এর
সবুজ মাথা তুলে কত খেলা দেখানাের দৃশ্য দেখেছিলেন।
সেই খােলা মাঠের সবুজ ঘাসের ওপর কবিকে ফিরতেই হবে।
সেখানে কবি যেতে চান কারণ ঘাস ফড়িং এর সঙ্গে তার নতুন এক গভীর আত্মীয়তা গড়ে উঠেছিল। ভালােবাসার টানেই কবিকে আবার সেখানে যেতে হবে।
৭.৭ প্রকৃতির প্রতি ভালােবাসার নিবিড় টান কীভাবে কবি অরুণ মিত্রের ‘ঘাস ফড়িং’ কবিতায় প্রকাশ পেয়েছে তা নিজের ভাষায় লেখাে।
উত্তর। প্রকৃতি প্রেমিক কবি অরুণ মিত্র একদিন ঝিরঝির বৃষ্টির পর খােলা মাঠে সবুজ ঘাসের ওপর পা দিয়েছেন। তার চোখে পড়ে একটি ছােটো সবুজ পতঙ্গা নাম ঘাসফড়িং। ঘাসফড়িং মনের আনন্দে অনেক খেলা কবিকে দেখাল। কবির সঙ্গে ঘাসফড়িং এর একটা গভীর সম্পর্ক গড়ে উঠল। কবি এই দৃশ্য দেখে মুগ্ধ হয়েছেন। চারিদিকে সবুজের সমারােহ। সবুজ প্রকৃতি কবির মনকেও স্পর্শ করেছে। প্রকৃতির প্রতি ভালােবাসার নিবিড় টানেই কবি ঘাসফড়িংকে কথা
দিয়েছেন-“ভিজে ঘাসের ওপর আমাকে যেতেই হবে আবার।”
************************************
Report