Model Activity task 2021(August)
Class 5 Bengali ( Part-4)
মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক ২০২১ | আগস্ট
পঞ্চম শ্রেণী বাংলা( পার্ট -৪)
১। একটি বাক্যে উত্তর দাও :
১.১ 'আয়রে ছুটে ছোট্টরা' - ছোটোদের কেন ছুটে আসতে হবে?
উত্তরঃ ছোটোদের ছুটে আসতে হবে কারন গল্পবুড়ো তাঁর ঝুলিতে করে অনেক রকম মন ভরানো গল্প নিয়ে এসেছে ।
১.২ '... আমাদের জোয়ানদের একটা ঘাঁটি ছিল।' - জোয়ানদের ঘাঁটিটি কোথায় ছিল?
উত্তরঃ জোয়ানদের ঘাঁটি ছিল লাডাকের একটি বরফের ঢাকা নির্জন জায়গাতে ছিল।
১.৩ 'দারোগাবাবু এবং হাবু' কবিতায় মেজদার পোষ্য কারা?
উত্তরঃ 'দারোগাবাবু ও হাবু' কবিতায় মেজদার পোষ্য হল আটটা কুকুর।
১.৪ 'উলগুলান' কাদের লড়াই?
উত্তরঃ মুন্ডাদের সাথে সাহেবদের লড়াই ।
১.৫ 'পাখির কাছে ফুলের কাছে' কবিতায় কোথায় কবিসভা বসবে?
উত্তরঃ 'পাখির কাছে ফুলের কাছে' কবিতায় লালদিঘিটার পারে কবি সভা বসবে ।
১.৬ 'তাই বুঝি বিমলার কমে গেছে দাম-ই-' - বিমলার কেন মনে হয়েছে যে তার দাম কমে গেছে?
উত্তরঃ বিমলার মনে হয়েছে যে তার দাম কমে গেছে কারণ দাদা ও অবনীকে বেশি করে খাবার দেওয়া হয় , কিন্তু অনেক কাজ করা সত্ত্বেও তাকে সেরকম গুরুত্ব দেওয়া হত না।
১.৭ 'ও যেন দিনের বেলাকার রাত্তির...' - কোন্ সময়টিকে লেখক 'দিনের বেলাকার রাত্তির' বলেছেন?
উত্তরঃ "ছেলেবেলা" রচনায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর দুপুরবেলাকে দিনের বেলাকার রাত্তির বলেছেন।
২। নিজের ভাষায় উত্তর দাও ঃ
২.১ 'গল্পবুড়ো' কবিতায় রূপকথার কোন্ কোন্ প্রসঙ্গে উল্লিখিত হয়েছে?
উত্তরঃ সুনির্মল বসুর লেখা 'গল্পবুড়ো' কবিতায় কবি রূপ কথার যে যে প্রসঙ্গ উল্লেখ করেছেন সেগুলি হলো - যক্ষিরাজ, রাজপুত্তুর, পক্ষীরাজ, দত্যি, দানব, মনপবনের দাড়খানা প্রভৃতি আজগুবি গল্প ছাড়াও কড়ির পাহাড়, সোনার কাঠি, তেপান্তরের মাঠ, কেশবতী নন্দিনী প্রভৃতির প্রসঙ্গ উল্লেখ করেছেন।
২.২ 'এমনি করে সারা শীত দেখতে দেখতে কেটে গেল।' - জোয়ানদের সেই শীতকাল যাপনের কথা কীভাবে 'বুনোহাঁস' গল্পে ফুটে উঠেছে?
উত্তরঃ লীলা মজুমদারের লেখা 'বুনোহাঁস' গদ্যাংশে, শীতের শুরুতে একঝাঁক বুনোহাঁসকে উত্তর থেকে দক্ষিণের গরমের দেশের দিকে উড়ে যেতে দেখা যায়। তাদের মধ্যে একটি হাঁসের ডানা জখম হওয়ায় সেটি লাডাকে জওয়ানদের ঘাঁটির কাছে নেমে আসে। তাকে আর একটা হাঁসও নীচে নেমে আসে। জখম হাঁসটিকে জওয়ানরা তুলে এনে তাদের মুরগি রাখার খালি জায়গাতে রাখে। সারা শীতকাল হাস দুটি জওয়ানদের সাথে এবং মাছ, জওয়ানদের ফেলে রাখা খাবার ইত্যাদি খায়। ধীরে ধীরে জখম হাঁসটি সুস্থ হয়ে ওঠে এবং উড়তে পারে। এইভাবে হাঁসদুটোকে দেখতে দেখতে জজয়ানদের শীত কালটি কেটে যায়।
২.৩ 'নালিশ আমার মন দিয়ে খুব/শুনুন বড়োবাবু।' - থানায় বড়োবাবুর কাছে হাবু কী কী নালিশ জানিয়েছিল?
উত্তরঃ ভবানীপ্রসাদ মজুমদারের লেখা 'দারোগাবাবু এবং হাবু' কবিতায় হাবু বড়োবাবুর কাছে যে নালিশ জানিয়েছিল তা হলো - তার বড়দা ঘরে সাতটি বেড়াল, বারন করা সত্ত্বেও মেজদা আটটা কুকুর এবং সেজদা পোষান দশটা ছাগল যেগুলো সে তার ঘরেই বেঁধে রাখেন। যার জন্য তার গন্ধে প্রান যায় যায় অবস্থা। এইসব হাবু নালিশ করে ছিল।
২.৪ 'এতোয়াকে দেখলে মনে হয় দুরন্ত এক বাচ্চা ঘোড়া।' - উদ্ধৃতটির আলোকে এতোয়ার কাজকর্মের পরিচয় দাও।
উত্তরঃ মহাশ্বেতা দেবীর 'এতোয়া মুন্ডার কাহিনী' - এর মূল চরিত্র এতোয়া সব সময় ব্যস্ত থাকে গরু, ছাগল, মেষ চরাত। বাগানে গরু চরাতে চরাতে টক আম, শুকনো কাঠ, মেটে আলু, পুকুর পাড় থেকে তোলা শাক সবই সে বস্তায় ভরে নেয়। তারপর ডুলং নদী পেরিয়ে ঘন সবুজ ঘাস বনে গোরু-মোষ ছেড়ে দেয়। এবার ও সুবর্ণরেখা নদীতে বাঁশে বোনা জালটাকে পেতে নিজেকে রাজা ভাবতে থাকে।
২.৫ 'ছিটকিনিটা আস্তে খুলে পেরিয়ে গেলাম ঘর...।' - তারপর কী কী ঘটল, তা পাখির কাছে ফুলের কছে কবিতা অনুসরণে লেখো।
উত্তরঃ আল মাহমুদের লেখা 'পাখির কাছে ফুলের কাছে' কবিতায় কবি ছিটকিনি খুলে বেরিয়ে আসার পর লক্ষ করলেন ঝিমধরা মস্ত শহরটা থরথর করে কাঁপছে, মিনারটির দেখে মনে হচ্ছিল যেন কেউ দাঁড়িয়ে আছে, পাথরটার গির্জাটাকে দেখে মনে হচ্ছিল লাল পাথরের ঢেউ, কবি দরগাতলা পার হয়ে যেই মোড় ফিরেছে এমনি এক অপরিচিত পাহাড় এসে ডাক দিল। ঐ পাহাড়টিকে পেরিয়ে লালদিঘির পাড়ে গিয়ে দেখল সেখানে জোনাকিদের সভা চলছে। কবিকে দেখে দিঘির কালো জল কলকলিয়ে বলল এসো আমরা সবাই আজ না ঘুমানোর দলে তোমার পকেট থেকে পদ্য লেখার ভাঁজ খোলা আজ রক্তাজবার ঝোপের কাছে কাব্য হবে দিঘির এই কথা শুনেই ফুল পাখিরা কলবর জুড়েদিল। কবি কোন্ উপায় না পেয়ে তার পকেট থেকে ছড়ার বই বের করে তাদের কাছে নিজের মনের কথা বলতে লাগলো।
২.৬ 'বিমলার অভিমান' কবিতা অনুসরণে বিমলার অভিমানের কারণ বিশ্লেষণ করো।
উত্তরঃ বিমলা বাড়ির ছোট মেয়ে। তাকে দিয়ে সারাদিন অনেক কাজ করিয়ে নেওয়া হয়, যেমন - ফুলতোলা। পূজা করা, বাচ্চাদের সামলানো, ছাগলে তাড়ানো, নুন আনায় পানের জন্য চুন আনা ইত্যাদি। আর খাওয়ার সময় দাদা আর অবনীকে তার চেয়ে বেশী ক্ষীর দেওয়ায় বিমলার অভিমান হয়।
২.৭ 'ছাদটা ছিল আমার কোতাবে - পড়া মরুভূমি...' - ছেলেবেলা রচনাংশে ছাদের প্রসঙ্গটি লেখক কীভাবে স্মরণ করেছেন?
উত্তরঃ 'ছেলেবেলা' রচনাংশে বালক রবীন্দ্রনাথের কাছে বাইরের খোলা ছিল প্রধান ছুটির দেশ। ছোটো থেকে বড় বয়স পর্যন্ত নানান স্মৃতি ওই ছাদে নানাভাবে বয়ে চলেছে। রবীন্দ্রনাথের পিতার জায়গা ছিল তেতলার ঘরে। মাঝে মাঝেই তিনি পাহাড়ে পর্বতে বেড়াতে চলে যেতেন তখন ওই ছাদে যাওয়া উঠতেন। এই দুপুর বেলাটা তার মনে হত রাত্তির। সকলে যখন পেট ভরে খেয়ে ঘুম দিচ্ছে তখন সে চুপিসারে পাড়ি দিত ছাদে। ছাদটা ছিল তার কাছে কেতাবে মরুভূমি যেন চারিদিক ধূ ধূ করছে, গরম বাতাস ধূলো উড়িয়ে হু হু করে ছুটে যাচ্ছে। আর এই ছাদের মরুভূমিতে তখন একটা ওয়েসিসি দেখা দেয়। লেখক ছুটে চলে যেত তেতলার স্নানের ঘরে। ধরাজলে স্নান সেরে সহজ মানুষ হয়ে বতস।
৩। নির্দেশ অনুসারে নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :
৩.১ সন্ধি করো :
৩.১.১ মিশি + কালো = মিশ্কালো ।
৩.১.২ এত + দিন = এদ্দিন ।
৩.১.৩ বড়ো + ঠাকুর = বট্ঠাকুর ।
৩.১.৪ সৎ + গ্রন্থ = সদ্গ্রন্থ ।
৩.১.৫ দিক্ + নির্ণয় = দিঙ্নির্ণয় ।
৩.২ নীচের পদগুলি ব্যঞ্জন সন্ধির কোন্ কোন্ নিয়ম মেনে বদ্ধ হয়েছে, লেখো :
৩.২.১ প্রচ্ছদ
উত্তরঃ প্র + ছদ (অ্ + ছ্ = অচ্ছ)।
৩.২.২ প্রাগৈতিহাসিক
উত্তরঃ প্রাক + ঐতিহাসিক ( ক + অ = গ)।
৩.২.৩ সদিচ্ছা
উত্তরঃ সৎ + ইচ্ছা ( ত + ই = দি)।
৩.২.৪ বিদ্যুদ্বেগ
উত্তরঃ বিদ্যুৎ + বেগ ( ত + ব = দ)।
৩.২.৫ পদ্ধতি
উত্তরঃ পদ + হতি ( দ + হ = দ্ধ)।